ভোলার একটি স্কুলে গণহারে অসুস্থ হয়ে পড়ল শিক্ষার্থীরা
![ছবি : বিবিসি বাংলা থেকে নেওয়া। ভোলার একটি স্কুলে গণহারে অসুস্থ হয়ে পড়ল শিক্ষার্থীরা](https://dailyspynews.com/wororgee/2024/03/36534a70-e6a3-11ee-9410-0f893255c2a0.jpg)
ছবি : বিবিসি বাংলা থেকে নেওয়া।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ জেলা ভোলার একটি স্কুলে ( পশ্চিম চরপাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ) ক্লাস চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তারা মাথাব্যথার অভিযোগ করেছিল, কিছু ছাত্র অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল, যার ফলে ৩৬ জন ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিভাবকরা তাৎক্ষণিক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
![](https://dailyspynews.com/wororgee/2024/03/36534a70-e6a3-11ee-9410-0f893255c2a0-300x174.jpg)
চিকিৎসক ও মনস্তাত্ত্বিকরা বলছেন, আতঙ্কিত হয়ে শিক্ষার্থীরা ‘মাস সাইকোলজিকেল ইলনেস’ বা ‘গণ-মনস্তাত্ত্বিক রোগে’ আক্রান্ত হয়েছে।
একজনের দেখাদেখি আরেকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এ ধরনের অসুস্থতার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান চিকিৎসক। এটি এক ধরণের লঘু মানসিক রোগ।
কী ঘটেছিল স্কুলটিতে ?
সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পশ্চিম চরপাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার সকালে ক্লাশ চলাকালীন সময়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সূত্রপাত যখন জিহাদ নামে অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী হাতে কলমের পিন ঢুকে রক্ত বের হওয়ার পর মাথা ব্যথা করছে বলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
এ সময় একই শ্রেণির আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী মাথা ঘুরছে বলে আতঙ্কিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পরে শ্রেণি শিক্ষক আবু সাইদ বিষয়টি প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে অবহিত করেন।
শ্রেণি শিক্ষক জানান, শিক্ষার্থী জিহাদ কলমের নিব থেকে আঙ্গুলে ব্যথা পেয়ে রক্ত যাতে না পড়ে সেজন্য আঙ্গুল চেপে ধরে। পরে দেখি সে মাথা ঝাঁকিয়ে টেবিল থেকে নিচে পড়ে যায়। এরপরই আরো কয়েকজনের একই রকম অবস্থা হয়
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, সকাল এগারটায় অষ্টম শ্রেণীর দ্বিতীয় পিরিয়ডে অঙ্কের ক্লাস চলাকালীন সময়ে জিহাদ নামে এক শিক্ষার্থীর অসুস্থতার খবর পেয়ে ক্লাসে যাই।
ওই শিক্ষার্থী অজ্ঞান হওয়ায় শ্রেণী শিক্ষক আবু সাইদ তাৎক্ষণিক-ভাবে তার মাথায় পানি দেয়। পরে সেখানে আরো ছয়জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকেই মাথা ব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করছে বলে জানায়।
ভোলা সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বুধবার সকাল পর্যন্ত ৩৬ জন শিক্ষার্থী এমন অসুস্থ হয়ে ভর্তি রয়েছে।